রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক॥
গ্রামে পরিবার পরিজনের সঙ্গে পবিত্র ঈদ উল ফিতর উদযাপন শেষে ঢাকায় ফেরা শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ। গত ১৪ মে সারা দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল ফিতর পালন করা হয়।
রোববার (১৬ মে) সকাল থেকেই মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে কর্মজীবি মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এছাড়াও শিমুলিয়া ঘাট থেকে আজো বাড়ি ফিরছেন অনেকেই।
বাংলাবাজার ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক ভজন সাহা জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রাপথে দুটি ফেরিতে প্রচণ্ড গরমে হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে ৫ জন মারা হওয়ার পর ফেরি সার্ভিসে গতি আনা হয়েছে।
এই নৌরুটে বর্তমানে চলাচল করছে ১৫টি ফেরি। সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করলেও ফেরিতে যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে। এছাড়া পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সও অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ঘাট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
এদিকে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় বিভিন্ন যানবাহনে তিন থেকে চারগুণ বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীদের।
বরিশাল থেকে আসা শান্তা ইসলাম নামে এক কর্মজীবি নারী বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে ঘাটে এসেছি। আগামীকাল থেকে অফিস খোলা কি করবো? অনেক টাকা ভাড়া দিয়ে ঘাটে আসতে হয়েছে। সরকার যদি গণপরিবহন চালু রাখতো তাহলে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হতো না।
সোহান নামে এক যাত্রী বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা উচিত কিন্তু হাজার হাজার মানুষের মাঝে সেই সুযোগ নাই। আমাদের কারখানা খোলা আগামী কাল। তাই যেকোনো উপায় যেতে হবে।
মাদারীপুরের ডিসি ড. রহিমা খাতুন বলেন, ঘাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে একাধিক টিম কাজ করছে। এসময় তিনি নাগরিকদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহবান জানান।